Your love is my Addiction romantic love history bangla - Shopnil-blog

Breaking

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday, April 6, 2020

Your love is my Addiction romantic love history bangla





Your love is my Addiction মিহু
Part_1+2



আমার দ্বারা কি জীবনেও সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা হবে না? প্রতিদিন ভার্সিটিতে লেট করে পৌঁছানোটা যেন আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। ধুর বাবা কিছুই ভালো লাগে না। আমার জামা কই? কি পরে যাব আজকে? ধ্যাত একটা পরলেই হইছে। বিয়ে বাড়িতে যাব নাকি যে এতো জামা জামা করতে হবে? ওহ্ নো ১০ টা বাজে। আআআআআ............ অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

বলেই এক দৌড় দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল। মিসেস্ রায়জাদা মেয়ের চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকলেন। কিন্তু উনি দেখলেন মেয়ে ওয়াশরুমে শাওয়ার নিচ্ছে। শুধু যে শাওয়ার নিচ্ছে তা নয়। তার সাথে বকবক তো ফ্রি আছেই।

মিসেস্ রায়জাদা: মিহু!!!

ওয়াশরুম থেকে মিহু উত্তর নিলো।

মিহু: কিতা মাম্মাম।

মাম্মাম: তাড়াতাড়ি এসে ব্রেকফাস্ট করে নাও। তোমার ভার্সিটির লেইট হয়ে যাচ্ছে।

মিহু: খাব নাআআআ।

মাম্মাম: খাব না মানে কি? চুপচাপ এসে খেয়ে যাও বলছি। নাহলে তোমার বাসা থেকে বের হওয়া বন্ধ।

মিহু: আরে মাম্মাম এমন করো কেন?

মাম্মাম: তুমি কি খেতে আসবে?

মিহু আর কোনো উপায় না পেয়ে 'হ্যা' বলে দিল। ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলো মিহু। এক দৌড়ে ব্রেকফাস্ট টেবিলে চলে গেল ও।

মিহু: গুড মর্নিং বাপি।

বাপি: মর্নিং মামনি।

মিহু: মাম্মাম খাবার দাও তাড়াতাড়ি।

মিসেস্ রায়জাদা খাবার বেড়ে দিলেন মেয়েকে। বাপি তাড়াতাড়ি খাইয়ে দিলেন মিহুকে। মিহু কোনো মতে খেয়েই গাড়ির চাবি নিয়ে দিল এক ভোঁ দৌড়।

মাম্মাম: মিহু দাঁড়াও।

মিহু: মাম্মাম দেরি হয়ে যাচ্ছে এখন কিছু শোনার সময় নেই।

মাম্মাম: না শুনে যাও আগে।

মিহু: বলো বলো তাড়াতাড়ি বলো।

মাম্মাম: তুমি ড্রাইভ করে যাবে না। তোমাকে ড্রাইভার দিয়ে আসবে।

মিহু: বাপিইইইইই

মাম্মাম: কোনো বাপি টাপি চলবে না। তুমি ড্রাইভার নিয়ে যাচ্ছো সাথে। আর এটাই ফাইনাল।

বাপি: মামনি তোমার মাম্মাম ঠিকই বলেছে।

মাম্মাম: তুমি তাড়াহুড়োর সময় অনেক ফাস্ট ড্রাইভ করো। তাই এখন তোমাকে ড্রাইভার দিয়ে আসতে যাবে।

মিহু আর কিছু না বলে ঠোঁট উল্টিয়ে বেরিয়ে গেল। মিসেস্ রায়জাদা বড় একটা শ্বাস ফেললেন মিহুর এমন চেহারা দেখে।

মিহু গাড়ির সামনে আসতেই ড্রাইভার ডোর খুলে দিল। মিহু ড্রাইভারের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়েই গাড়িতে উঠে বসলো। গাড়িতে বসে মিহু নীলকে ফোন দিল। নীল ফোন রিসিভ করতেই মিহু বলে উঠলো।

মিহু: ওই ফুপাতো ভাই কই তুই?

নীল: ভার্সিটিতে আছি। কিন্তু তোর আবহাওয়া গরম মনে হচ্ছে কেন?

মিহু: মাম্মাম ড্রাইভার দিয়ে পাঠিয়েছে।

নীল: এতে রাগার কি আছে?

মিহু: ওই মামদা ভূত তুই জানিস না আমি ড্রাইভ করতে কতটা লাইক করি?

নীল: তুই অনেক ফাস্ট ড্রাইভ করিস তাই তোর সেফটির জন্যই আন্টি ড্রাইভার দিয়েছে।

মিহু: একদম মাম্মামের সাইড নিয়ে কথা বলবি না বলে দিলাম। ঠোংগা জানি কোথাকার।

নীল: হুহ্ তাড়াতাড়ি আয়। আমি আর অনু তোর জন্য অপেক্ষা করছি।

মিহু: হুমম এই তো পৌঁছে গেছি।

নীল: ওকে বাই।

মিহু: মিয়াসকো উতুবা।

নীল: মানযে্?

মিহু: তুই মারাঠি বলিস কেন?

নীল: তো তুই পর্তুগিজ বলিস কেন?

মিহু: কারন আমি পর্তুগিজ পারি তাই।

নীল: আর আমিও মারাঠি পারি তাই।

মিহু: হাহ্ মুরগী জানি কোথাকার ফোন রাখ।

মিহু নীলকে ফোন কাটতে বলে নিজেই ফোন কেটে দিল।

নীল: এই মেয়ে এ জীবনে আর ঠিক হবে না।

অনু: তোদের ঝগড়া গুলো আমার কাছে ভালোই লাগে। মিহুর সাথে কখনো তুই ঝগড়ায় পারিস না।

নীল: তোর সাথেও তো পারি না।

অনু: বুঝতে হবে।

নীল: তোরা যে ডায়নি, পেত্নী, ভূতনী, শাঁকচুন্নি, পিঁচাশিনি তা আমার খুব ভালো মতো জানা।

অনু: আমরাও জানি এগুলো। তোকে রিপিট করতে হবে না।

নীল: বজ্জাত মাইয়া।

অনু: তুই কি কান কাটা পেত্নু।

নীল: মিহু এতক্ষণ শুনিয়েছে এখন আবার তুই শুরু করিস না।

অনু: হুহ্।

একটু পরে মিহুর গাড়ি ভার্সিটির গেট দিয়ে ঢুকলো। ড্রাইভার মিহুকে চাবি দিয়ে চলে গেল। মিহু ফোন টিপতে টিপতে সামনে এগোচ্ছিল। হঠাৎ গাড়ির হর্ন শুনে মিহু চমকে উঠলো। আর ওর হাত থেকে ফোনটা নিচে পরে গেল। ও প্রচন্ড রকমের ভয় পেয়েছে। রেগে পেছন ফিরে তাকাতেই ওর রাগ দ্বিগুণ বেড়ে গেল। কারন ভার্সিটির ক্রাশ মিস্টার ডেভিল থুক্কু মিস্টার মেঘ রায়হানের গাড়ির সামনে পরেছে ও। ও তো এই ব্যক্তিকে দেখতেই পারে না। এক কথায় বলতে গেলে মেঘের থেকে ওর এলার্জি আছে বললেই চলে। ও নিচে থেকে ওর ফোনটা তুলে নিয়ে ওখান থেকে চলে গেল।

মেঘ গাড়ি ওভাবেই থামিয়ে মিহুর দিকে তাকিয়ে রইলো কতক্ষণ। মেঘ ভাবছে, "এই মেয়ের নেশা আমায় দিন দিন মাতাল করে দিচ্ছে। মদ না খেয়েও মাতাল হওয়া যায় শুধু মাত্র এই মেয়েকে দেখে"। মেঘ আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো ওর দিকে অনেকেই তাকিয়ে আছে। ও ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে পার্কিং-এ চলে গেল।

মিহু যেয়ে ওর ব্যাগ দিয়ে নীলের মাথায় ঠাস্ করে একটা বারি দিল। অনু ফিক করে হেসে দিল তা দেখে।

মিহু: আবে গাম্বাট এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?

নীল: কি বললি তুই চুরায়েল? আমি গাম্বাট?

মিহু: ইয়ো ইয়ো ইয়ো।

নীল: এটা আবার কি?

মিহু: তোর নাকের ঘি।

নীল: ছিইইইইইই।

মিহু: হিহিহিহি।

অনু: মিহু বাবুনি চল তো লাইব্রেরীতে যাই।

মিহু: কিহ্? আমার সাথে লাইব্রেরীর জন্ম-জন্মান্তরের শত্রুতা আছে জানিস না?

অনু: কিন্তু নিউ গল্পের বই এসেছে শুনলাম।

মিহু: আগে বলবি না এই কথা তুই? লাইব্রেরী তো আমার জানে-জিগার লাগে। চল চল তাড়াতাড়ি চল।

নীল: তুই একটা নির্জীব জিনিসকেও পাম মারা থেকে বিরত থাকলি না?

মিহু: হিহিহিহি ডোন্ট ফরগেট আ'ম মিহু।

নীল: মিহু দা গ্রেট নটাংকিবাজ।

মিহু: নীলের বাচ্চা কিল, বিল, ঝিল তোর চৌদ্দ গুষ্টির আমি তুষ্টি করব বলে দিলাম।

অনু: তুই নীলের তুষ্টি তো করিস'ই এখন আবার ওর চৌদ্দ গুষ্টিরও তুষ্টি করবি?

মিহু: বেশি পকপক করলে তাই'ই করব।

অনু: নীল জানু শুনেছো তো?

মিহু: ওই অনু চল লাইব্রেরীতে যাব।

অনু: লেট'স গো বেব।

নীল ওখানেই মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।

নীল: এতদিন কি আমি কম টর্চার সহ্য করছি যে এখন আমার চৌদ্দ গুষ্টিকে টর্চার করবে বলে গেল? এ কোন পাগলের পাল্লায় পরলাম? আমার কপালেই কেন সব পাগল জুটে? বেস্টফ্রেন্ডও জুটছে একটা হাফ মেন্টাল। আর বোন জুটছে একটা ফুল মেন্টাল। কবে জানি দেখি গার্লফ্রেন্ডও জুটবে একটা তাঁর ছিঁড়া। আল্লাহ্ গো আল্লাহ্ রক্ষা করো।

মিহু আর অনু লাইব্রেরীতে যেয়ে বই নিয়ে ক্যান্টিনে গেল। নীল ক্যান্টিনে বসে আছে হাতে পেস্ট্রি নিয়ে। মিহু আর অনু ওর কাছে গেল। নীল যেই পেস্ট্রিতে কামড় বসাতে যাবে তখনি মিহু নীলের মাথায় যেয়ে ঠাস করে একটা থাপ্পড় দিল। পেস্ট্রিটা দিয়ে নীলের মুখ জড়িয়ে গেল। অনু আর মিহু নীলের দিকে তাকিয়ে তারপর একে অপরের দিকে তাকালো। সাথে সাথেই ওরা দু'জন জোরে জোরে হেসে উঠলো। নীল রাগী চোখে তাকিয়ে আছে মিহুর দিকে। মিহু দিল এক চোখ টিপ। নীল রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে ওয়াশরুমে চলে গেল।

অনু: মিহু আই হ্যাভ এ প্ল্যান।

মিহু: কি?

অনু মিহুকে প্ল্যান বলার সাথে সাথেই মিহু রাজি হয়ে গেল। ও লাফাতে লাফাতে ক্যান্টিন থেকে একটা কলা নিলো। মিহু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কলা খেয়ে খোসাটা অনুর কাছে দিল। অনু যেয়ে কলার খোসাটা ওয়াশরুমের সামনে নামিয়ে রাখলো। তখনি নীল ওয়াশরুম থেকে বের হলো রুমাল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে। ও খেয়াল'ই করে নি যে ওর পায়ের নিচে কলার খোসা। খোসার উপর পা দেওয়ার সাথে সাথেই ও ধপাস্ করে নিচে পরে গেল। মিহু আর অনুর হাসি দেখে কে। নীল করুন চোখে তাকিয়ে আছে ওদের দিকে। অনু হাসতে হাসতে নীলের সামনে যেয়ে হাত বাড়িয়ে দিল ওঠার জন্য। নীল বেচারাও বা কি করবে! অনুর হাত ধরে উঠতে গেলে অনু নীলকে একটু উঠিয়ে আবার হাত ছেড়ে দেয়। নীল আবার ধপাস্ করে নিচে পরে গেল। মিহু হাসতে হাসতে চেয়ারে বসে পরলো। হাসতে হাসতে ওর পেট ব্যাথা করছে ভিষণ। অনুও নীলের সামনে বসে পরলো।

নীল: আল্লাহ্ গো..... আজকে কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠছিলাম সকালে? তোগো উপরে টাটকা ঠাডা পরব বজ্জাত মাইয়া কোনহানকার। আমার মতো একটা ভোলা ভালা পোলারে এমনে কইরা টর্চার করতাসোস। এর বিচার আল্লাহ্ করব। দেখিস তোগো দুইটার কপালে জল্লাদ জুটব। মিহুর কপালে জুটব ডেভিল আর তোর কপালে জুটব খাটাশ।

অনু: শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।

নীল: ভালো মানুষের দোয়ায় তো মরব তাই না?

মিহু: কিতা কইলা তুমি?

অনু: দোস্ত কি কয় ওয় এডি? ওয় ভালো মানুষ? তাইলে আমরা কি?

মিহু: ওরে কেউ অনুরে একটা পিংক কালারের বিষ আইনা দে রে। ওয় খাইয়ে আমারে মাইরা ফালাক।

নীল চোখ দু'টো ছোট ছোট করে ফেলল। অনু আর মিহু সমানে হেসেই যাচ্ছে। নীল ওদের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে এক সময় ওরও হাসি পেয়ে যায়। না চাইতেও নীল ওদের সাথে তাল মিলিয়ে হেসে দেয়। ক্যান্টিনের সবাই ওদের তিনজনের কাহিনি দেখে হেসে দেয়।

ওদের তিনজনকে কম বেশি প্রায় সবাই চিনে। কারন অনু, মিহু আর নীল বেস্ট ফ্রেন্ড হওয়ার সাথে সাথে ওদের আরও একটা পরিচয় আছে। ওরা তিনজন'ই কাজিন। মিহুর বাপির আপন বোনের ছেলে নীল। আর মিহুর বাপির আপন ভাইয়ের মেয়ে অনু। এছাড়াও এই ভার্সিটির ওউনারদের মধ্যে মিহুর বাবা, নীলের বাবা আর অনুর বাবাও আছে। বিধায় ওদের সবাই চিনে। আর ওদের ফাজলামোও আনলিমিটেড চলতেই থাকে।

এদিকে মেঘ পার্কিং-এ গাড়ির বোনাটের উপর শুয়ে আছে। আর সিগারেটের ধোঁয়া গুলো আকাশে উড়িয়ে দিচ্ছে ও। পাশের গাড়ির বোনাটের উপর হাতে সিগারেট নিয়ে বসে আছে মানিক। মেঘের আরেক পাশের গাড়ির বোনাটের উপর বসে নীলা আইসক্রিম খাচ্ছে। মানিক মেঘের দিকে তাকিয়ে দেখলো মেঘ সিগারেটের দিকে এক ধেনে তাকিয়ে আছে।

মানিক: হোয়াট'স আপ ইয়ার? এভাবে সন্নাসীর মতো মুখ করে রেখেছিস কেন?

মেঘ: নাথিং ইয়ার।

নীলা: আই থিংক মিহুকে নিয়ে ভাবছে।

মানিক: তুই মিহুকে নিয়ে এতো কি ভাবিস?

নীলা: ইউ লাভ হার মেঘ?

মেঘ: নোপ, নেভার, ইম্পসিবল। আর ইউ ম্যাড অর হোয়াট নীলা? ইউ থিংক আই লাভ হার? ইট'স জাস্ট ইম্পসিবল।

নীলা: কেন?

মেঘ: ওর সাথে আমার যায় না। আমি কোথায় আর ও কোথায়। ওর স্ট্যাটাসের সাথে আমার স্ট্যাটাস আকাশ পাতাল তফাৎ।

আসলে মেঘ জানে না যে এই ভার্সিটির ওউনার মিস্টার রায়জাদার মেয়ে মিহু। আর তাছাড়া মিহুর চালচলন দেখেও বোঝার উপায় নেই যে ওর বাবা এই কলেজের ওউনারদের মধ্যে একজন। কারন মিহুর মধ্যে কোনো অহংকার'ই নেই। মেঘ ভাবে মিহু মিডেল ক্লাস কোনো ফ্যামিলি থেকে বিলং করে। তাই মিহুকে সেভাবে পাত্তা দেয় না। কিন্তু মিহুকে দেখলেই ও কেমন যেন হয়ে যায়। ওর হার্ট মনে হয় ওর কাছে থাকে না তখন। মানিকের কথায় ঘোর কাটলো ওর।

মানিক: ডুবে ডুবে জল খাচ্ছিস না তো আবার?

মেঘ: সাট আপ ইয়ার। আই জাস্ট লাইক হার নাথিং এলস্।

নীলা: কুছ্ তো হে তুঝছে্ রাবতা, কুছ্ তো হে তুঝছে্ রাবতা্.......

মেঘ: সাট আপ নীলা ডোন্ট পুল মাই লেগ।

মানিক: ও আবার তোর পা ধরে কখন টানলো?

নীলা: মাথা-টাথা গেছে নাকি?

মেঘ: মানিক তুই এই ডান্সিং ডাইনীর দলে যোগ দিস না যেয়ে।

নীলা: কি বললি তুই ভিতুরাম? তোর হচ্ছে আজকে।

নীলা এক লাফ দিয়ে গাড়ির বোনাটের উপর থেকে নেমে মেঘের পা ধরে টান দিয়ে গাড়ির বোনাটের উপর থেকে নিচে ফেলে দিল।

মেঘ: আউচ্ নীলা!!!

নীলা

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here