
কমিশনারের মেয়ের প্রেমে
Writer-Samir Hossain
পর্ব__১
ওই চোখে দেখিস না,নাকি চোখ বাসায় খুলে রেখেছিস!!
আমি-সরি আসলে আমি দেখনি,,
-দেখিস নি নাকি,দেখও না দেখার ভান করছিস,,
আমি-সত্যি আপু আমি দেখিনি,,
-চুপ তোর মতো ছেলেকে আমার ভালো করে চেনা আছে ফাজিল কোথাকার।
আমি-ওই চুপ থাপ্পরাইয়া সব দাত ফেলে দিবো,তোকে বলছি না আমি দেখে শুনে ধাক্কা দেয়নি।
-কি আবার মুখে মুখে তর্ক করিস, আজ তোর বারোটা বাজাবো,,
আমি-বারোটা পর্যন্ত দারিয়ে থাকার কোনো ইচ্ছা আমার নাই, দেখি সাইড হ আমাকে কলেজে যেতে হবে।
-তোরে আমি দেখে নিম হুম।
আমি-পরে দেখবি কি রে এখনি একটা ছবি তুলে নে,
বলে চলে আসলাম,দূর মুড টাই নষ্ট করে দিলো হারামজাদি গুন্ডি মেয়ে।এখন পরিচয়টা দেওয়া যাক,আমি আপনাদের কমেডিয়ান রাইটার হুমম সামির, বাবা মার বান্দরের থুক্কু আদরের বড়ো ছেলে,আজকে আমার কলেজের প্রথম দিন, শবে মাএ বাসা থেকে বের হয়ছি আর তখনি গুন্ডি মেয়েটার সাথে ধাক্কা খেলাম তারপর কি হলো সেটা তো দেখলেন।
গুন্ডি হলে কি হবে চেহারাটা পরীর মতো সুন্দর। যাই হোক আপনাদের সাথে কথা বলতে বলতে কলেজে চলে এসেছি।
দেখতে দেখতে কয়েকটা ক্লাস করলাম, আর বেশ কয়েক জনের সাথে বন্ধুত্ব হলো,যাদের সাথে পরিচয় হলো তারা হচ্ছে আলি রাকিব,সাগর আর রাসেল, তো আমরা কয়েক জন মিলে ক্লাস শেষ করে ক্যান্টিনে বসে আছি।
হঠাৎ একটা পিচ্চি এসে বললো,,
পিচ্চি-ভাইয়া দিয়া আপু আপনাকে ডাকছে,,
আমি-কোন দিয়া আপু,,
পিচ্চি-আমার সাথে চলেন,,
আমি-হুম চলো,,
আরে এটাতো সকালের সেই গুন্ডি মেয়েটা, তার মানে এর নাম ই দিয়া ,,
দিয়া-ওই এদিকে আয়,,
ব্যাবহার দেখে মনে হলো এক থাপ্পর দিয়া ৩২ টা দাত ফালাইয়া দিই,কিন্তু কলেজে নতুন দেখে কিছু বললাম না।
দিয়া-ওই কথা কানে যাচ্ছে না,,
আমি-আপু আপনি আমার সাথে এমন ব্যাবহার করছেন কেনো...?
দিয়া-ওই তোর সাথে কি ভাবে কথা বলতে হবে হু,,
আমি-কেনো ডেকেছেন বলুন,,
দিয়া-তোর সাথে প্রেম করবো দেখে ডাকছি,কি প্রেম করবি,
বলেই দিয়া আর ওর বান্ধবিরা সবাই একসাথে হেসে উঠলো,মনটা কয় সব গুলারে লাটি দিয়া পিডাইয়া তক্তা বানাইয়া দিই, কিন্তু কিছু না বলে চলে আসলাম বন্ধুদের কাছে।
আমি-দোস্ত মালটা কেডা,,
আলি হাসান-ও হচ্ছে পুলিশ কমিশনার রফিকুল সাহেবের মেয়ে,ওকে দেখলে সবাই ভয় করে,ওকে কেউ ডিস্টার্ব করলে ওর বাবাকে বলে দেয়,আর ওর বাবা এসে ছেলেটাকে তুলে নিয়ে যায়।
আমি-ও এই ব্যাপার কমিশনারের মেয়ে গুন্ডি কমিশনার।
রাসেল-হুম, কিন্তু কেনো,,
আমি-কিছুনা চল বাসায় যাই।
সাগর-হুম চল।
তারপর বাসায় আসলাম খাওয়া দাওয়া করে একটা ঘুম দিলাম,রাতে ঘুম থেকে উঠে আবার খেয়ে আবার ঘমিয়ে পরলাম।কাজ নেই বেকার আপনাদের কমেডিয়ান রাইটার ভাই তাই খায় আর ঘুমায় আর বাপের কাছে মার খায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে কলেজে গেলাম,যেই মাএ কলেজের গেটে পা দিছি তখনি,,,
দিয়া-ওই হারামির এদিকে আয়,
আপনারাই কন আমার নাম সামির আমারে ডাকতিছে হারামি করে,মনডা কি কয় মনে হচ্ছে সব গুলারে ধরে আছাড় দিই,
আমি-কি হয়ছে বলুন,আর আমার নাম হারামি না আমার নাম সামির,,
দিয়া-তোর নাম দিয়ে আমি কি করমু,আর শোন এখন থেকে কলেজে ঢুকতে গেলে আমাদের সালাম দিয়ে কলেজে ঢুকবি,আর তোর টাকা দিয়ে আমাদের ফুসকা খাওয়াবি,,
কথাটা বলার সাথে সাথে ঠাসসসসসসসসসসসসসসস,,,
আপনারা আবার কি ভাবছেন আমাকে মারলো, না আমি ই মারলাম সকাল সকাল মেজাজটা গরম করে দিলো।
প্রিন্সিপ্যাল স্যার-বাবা তুমি মনে হয় কলেজে নতুন,তুমি তারাতারি চলে যাও নাহলে তোমার সমস্যা হবে।
আমি-আমার কিছু হবেনা স্যার,আপনি কোনো চিন্তা কইরেন না।
স্যারের সাথে কথা বলতে বলতে আমি খেয়াল ই করিনি, এতক্ষনে কলেজের সব স্টুডেন্টররা এখানে চলে এসেছে আর আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে, নিজেকে এই মূহুর্তে মঙ্গল গ্রহের প্রাণী বলে মনে হচ্ছে আর এদিকে দিয়া তার বাবাকে ফোন দিয়ে আসতে বলছে।
কিছুক্ষন পর দিয়ার বাবা আসলো তারপর আমাকে...
No comments:
Post a Comment