Our Unknown Love Story

The College Love
Writer Sanjana Shabnam_Fahmida
Part 1
সারাদিন শেষে আসে রাত।এই রাতটি স্বাক্ষী থাকে হাজারো চোখের পানির, হাজারো দুঃখের।হাজারো অপমানের।কিন্তু এই দুঃখ কষ্ট বুকে নিয়েই মুখে হাসি ফুটিয়ে রাখে শবনম।বাবা মাকে নিয়ে অনেক সুন্দর হাসিখুশি পরিবার ছিল তার।কিন্তু তাদের এই সুখ বেশি দিন টিকে নি।
কিছু ভূল কিছু রাগের মাঝে ভালোবাসা টা আড়াল হয়ে যায়। ভেঙ্গে যায় সুখের সাজানো সংসার। চলে যায় ওকে নিয়ে অনেক দুরে সামিরা রায়হান সবার আড়ালে। হাজার খোঁজার পরেও খুজে পান নি আসিফ চৌধুরী তার স্ত্রী এবং মেয়েকে।
শবনমের দূরে যাওয়ার ব্যথা আসিফ বাদেও আরেকজনের হৃদয়ে গিয়ে লাগে। কিন্তু অবুঝ মন চাইলেও নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারবে না।
কিছুদিন পর সামিরা জানতে পারলেন তার কাছে আর বেশী সময় নেই। ক্যান্সার ধরা পরেছে তার তিনি আর বেশিদিন বাঁচবে না।
কিন্তু শবনম তার কী হবে।অনেক ভেবে চিন্তে মৃত্যুর আগে তাকে নিজের ভাইয়ের কাছে রেখে গেলেন তিনি।কিন্তু শবনমের মামা তার সব সম্পত্যি নিজের নামে করে ওকে রাজশাহীর অনাথ আশ্রমে রেখে যায়।তখন থেকে আজ পর্যন্ত ও এখানেই বড় হয়েছে।
শবনম যথেষ্ট রুপবতী।সাজতে হয়না তাকে এভাবেই তাকে রাজকুমারীর মতো দেখায়।পুরোনো কাপরেও তাকে মায়াবতী থেকে কম দেখায় না।খুব ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের সে।সবারই কিছু বিশেষ ও আলাদা গুন থাকে।তারও দুটি গুন রয়েছে।সবার সাথে সহজেই মিশতে পারে ও আরেকটা ও অন্যায় সহ্য করতে পারে না।
ছাদের এক কোনে মায়ের দেওয়া লকেট হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ও। পুরোনো স্মৃতি গুলো মনের মাঝে বারবার উকি মারছে।
হঠাৎ মাদারের ডাকে ঘুরে তাকালো ও।
মাদারঃ এতো রাতে একা ছাদে কি করছো my child।
শবনমঃ Nothing mother ঘুম আসছিলো না তাই ভাবলাম একটু ছাদে গিয়ে বসি।
মাদারঃ মায়ের কথা মনে পরছে তাই না।
শবনমঃ মাদারের কথা শুনে চোখ থেকে দু ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পরলো তার।হুম চোখের পানি মুছে উওর দিলো সে।
মাদারঃ তোমার জন্য একটা গুড নিউজ আছে। তুমি স্কলারশীপ পেয়েছো।এবং তোমার এডমিশন The Mount City College And University তে হয়েছে। দেশের টপ কলেজের মধ্যে একটা।
আমি তোমার জন্যে হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করেছি। ওখানে তোমার কোনো সমস্যা হবে না। মন দিয়ে পড়াশোনা করবে। আর নিজের সব সপ্ন সত্য করবে।
শবনমঃ Thank you mother. কিন্তু ওখানেতো সব High standard familyr ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া করে। আমার মতো অনাথ মেয়ের ওদের সাথে লেখা পড়া করা সম্ভব না।😞😞
মাদারঃ Everything is possible for you my child. তুমি অনেক brave. আর আমি জানি তুমি নিজের খেয়াল নিজে রাখতে পারবে।
শবনমঃ I will try my best mother. আমি আপনাকে নিরাশ করবো না promise 😊😊
মাদারঃ এখন গিয়ে শুয়ে পরো কালকে অনেক পথ জার্নি করতে হবে। Good night 😊😊
শবনমঃ OK good night mother 😊😊
নিজের রুমে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো শবনম।
মাঝরাতে,,,,,
প্রতি দিনের মতো আজো শবনম অনুভব করছে কেউ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। কপালে কারো ঠোঁটের স্পর্শ পাচ্ছে ও।
কানে কেউ ফিসফিসিয়ে বলছে,,, ভালোবাসি,,,,
কিন্তু আজও নিজের চোখ খুলতে পারছে না ও। সারা রাজ্যের ঘুম যেন ওর চোখেই এসে পরেছে।
ভোর 5টা,,,
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসে উঠে শবনম। জানালার পাশের সিটে বসে বাইরের প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত সে।মনে এক অজানা ভয় উকি দিচ্ছে তার। নতুন জায়গায় নতুন মানুষ। কখনো একা অনাথ আশ্রম থেকে বের হয় নি সে। কিন্তু আজ একা এক অজানা জায়গায় অচেনা মানুষের মাঝে থাকতে যাচ্ছে সে। হঠাৎ বাস থেমে যাওয়ায় ঘোর কাটলো তার।
ড্রাইভারঃসামনে একটা বড় গাছের ডাল ভেঙে পরে আছে তাই বাস আর আগাবে না।
সবাই একে একে নেমে সবার গন্তব্যে চলে যায়। কিন্তু শবনম পথ খুঁজে পাচ্ছিলো না। হঠাৎ সে একটা টং দেখে সেখানে গেলো।
শবনমঃ চাচা Mount City College যাওয়ার কোনো শট কাট রাস্তা আছে।
টং ওয়ালাঃ জি মেডাম আছে। ঐ যে দেখছেন পেছনের জঙ্গল ওটার নাম অন্ধকার বন। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে বরাবর গেলে 10 মিনিটের রাস্তা। কিন্তু ঐ রাস্তা দিয়ে কেউ যায় না।
শবনমঃ কিন্তু কেন?
লোকটিঃ কারন ওই জঙ্গলে দিনও রাতের মতো। সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না এতো ঘন ওই বন। তাছাড়া ঐ জঙ্গলে ভয়ঙ্কর জীব জন্তু থাকে তাই বলছি ওখান দিয়ে যাইয়েন না। বিপদ হতে পারে।
শবনম পিছনে ফিরে জঙ্গলটির দিকে ভালো ভাবে স্ক্যান করলো।
শবনমঃ Thank you চাচা কিছু হবে না আমি আসি।( বলে জঙ্গলের দিকে চলে গেল )
জঙ্গলে প্রবেশ করেই অবাক হয়ে গেল। আসলেই দিনেও অন্ধকারের মতো জায়গাটা। কিন্তু তার পরেও ভয়ঙ্কর লাগছে না।
শবনমঃ কি সুন্দর জায়গা এটা নাকি ভয়ঙ্কর এখানে আবার কি বিপদ হবে।
ঝোপের আড়ালে দুটো হিংস্র চোখ ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ হিংস্র প্রাণী টি শবনমের পিছনে ঝাপ দেয় সাথে সাথে কেউ হাওয়ার বেগে প্রানিটিকে নিয়ে আড়াল হয়ে যায়।
হঠাৎ পিছনে কারো উপস্থিতি টের পেয়ে শবনম ঘাবরে গিয়ে পিছনে ফিরে। কিন্তু পেছন ফিরে কাওকে দেখতে পেলো না সে।
শবনমঃ এমন লাগলো কেউ পেছন দিয়ে গেল কিন্তু এখানে তো কেউ নেই।
শবনম মনের ভূল ভেবে আবারো হাটা শুরু করল।
এইদিকে,,,
অজানাটি হিংস্র প্রাণী টিকে ছুরে দুরে সরিয়ে দিলো। সাথে সাথে সেটা দৌড়ে ওখান থেকে পালিয়ে গেলো।
অজানাঃ আমি থাকতে ওর কোন ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। ওর প্রত্যেক বিপদের সামনে আমি ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। ( গর্জিয়ে)
No comments:
Post a Comment